শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:৪১, ১৯ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। এই অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজবাহী রণতরী ‘ইউএসএস নিমিৎজ’ দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একাধিক গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, যা পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরে অবস্থানরত মার্কিন যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে সমন্বয় করে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই এফ-১৬, এফ-১২ ও এফ-৩৫ মডেলের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মোতায়েন করেছে। এসব বিমানের সহায়তায় আকাশ থেকে পাল্টা আঘাত হানা এবং ইসরায়েলকে বিমান প্রতিরক্ষা সহায়তা দেওয়ার সক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে।
পাশাপাশি ৩০টিরও বেশি ট্যাঙ্কার বিমান ইউরোপে মোতায়েন করা হয়েছে, যেগুলো আকাশপথে যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানগুলোর জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে, ফলে যুদ্ধ চলাকালীন দীর্ঘ সময় আকাশে টিকে থাকার কৌশলগত সুবিধা নিশ্চিত হবে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে জড়ায়নি, তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই বিপুল সামরিক প্রস্তুতি যুদ্ধ সম্ভাবনাকে নিকটতর করে তুলছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক সহযোগিতা এবং ইরানের প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থান ভবিষ্যতের যেকোনো উত্তেজনাকেই পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসন এখন পর্যন্ত দ্ব্যর্থহীন বার্তা দিচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত, তবে প্রথম আঘাত করবে না। এর মধ্যেও কৌশলগত রণতরী, বিমান, সেনা ও প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর মাধ্যমে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে এক অদৃশ্য কিন্তু অতি সক্রিয় সামরিক বলয়ের সৃষ্টি করেছে ওয়াশিংটন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ