শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:২৪, ১৯ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৪:০০, ১৯ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে মিছিলটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়।
এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’। সংগঠনটির কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর ও মো. নুরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানবো না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’— এমন নানা স্লোগানে মুখর করে তোলেন সচিবালয় এলাকা।
উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সর্বশেষ ঈদের ছুটির আগে ৩ জুন পর্যন্ত সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সরকারের সাতজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। ১৫ জুনের মধ্যে চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না করলে ১৬ জুন থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকিও দিয়েছিলেন কর্মচারী নেতারা।
এর মধ্যে গত ৪ জুন `সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটি সোমবার বিকেলে প্রথম বৈঠকে বসছে। কমিটির সুপারিশ দেওয়া পর্যন্ত কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ