শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:২৮, ১৯ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৪২, ১৯ জুন ২০২৫
পররাষ্ট্র সচিব মো. নজরুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনও বাংলাদেশির হতাহতের খবর নেই। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আমরা সার্বক্ষণিক সতর্ক আছি। যদি কোনও নতুন খবর আসে, আমরা তাৎক্ষণিক জানাবো।’
তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে আছেন। সবাই এক জায়গায় নেই। সুবিধাজনক অবস্থান অনুযায়ী তারা আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত আনার প্রস্তুতি চলছে। তুরস্ক বা পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
মো. নজরুল ইসলাম জানান, তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। ‘আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বুধবার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দূতাবাসের কেউ বিপদের মধ্যে নেই এবং দূতাবাস থেকে নিয়মিত বাংলাদেশিদের সহায়তা করা হচ্ছে’ বলেন তিনি।
সরকারের হিসেবে, বর্তমানে ইরানে বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। এর মধ্যে শুধু তেহরানেই আনুমানিক ৪০০ জন ছিলেন। ইতোমধ্যে শতাধিক বাংলাদেশি দূতাবাসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন।
হটলাইন চালু থাকায় এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
তেহরান ছাড়াও বন্দর আব্বাসসহ অন্যান্য এলাকায় থাকা বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে ফেরত আসতে চাইলে তাদেরও সহায়তা দেওয়া হবে।
ইরানে অর্থ পাঠানোর আইনি জটিলতা সম্পর্কে সচিব বলেন, ‘এখন আর আগের মতো দুবাই থেকে টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। দূতাবাসে কিছু টাকা সংরক্ষিত আছে, এছাড়া একজন কর্মকর্তা ঢাকা থেকে তেহরানে ফিরে যাচ্ছেন—তার মাধ্যমেও নগদ অর্থ পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি কিছু বন্ধুপ্রতিম দেশের সহায়তাও নেওয়া হতে পারে।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ