শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:২৩, ২১ জুন ২০২৫
শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সুইস ব্যাংকে অনেক টাকা জমা হয়েছে এই বছরের মধ্যে। জানি না এই টাকাগুলো কাদের, কবে কীভাবে জমা হয়েছে। তবে এ তথ্য প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের মনে প্রশ্ন তোলে—তাহলে কি কোনো পরিবর্তন হয়নি?’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই অর্থ ২০২৪ সালে জমা হয়ে থাকে, তবে এটা পরিষ্কার যে, ফ্যাসিস্ট শাসনামলে এটি হয়েছে। আওয়ামী লীগ শুধু নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রের কাঠামো, আমলাতন্ত্র সব ধ্বংস করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই কিছু ভালো কাজ শুরু করেছে।’
লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১০ মাসে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা সন্দিহান ছিলাম। তবে এই বৈঠকে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, যা আমাদের আশাবাদী করেছে। আমরা আশা করি, নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগে দেশে ফ্যাসিবাদ পতনের দিকে এগিয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে এখন সম্মিলিত উদ্যোগের সময়। বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। যেসব বিষয়ে মতৈক্য হচ্ছে না, তা ভবিষ্যৎ সংসদে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে।’
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশিদের সুইস ব্যাংকে জমা অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ কোটি সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮,৮০০ কোটি টাকা)। ২০২৩ সালে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ১ কোটি ৭৭ লাখ ফ্রাঁ। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে জমা অর্থ ৩৩ গুণ বেড়েছে।
এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ‘ফ্যাসিস্ট আমলের চিহ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অর্থ প্রবাহের উৎস তদন্ত হওয়া দরকার।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নিবন্ধনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তাদের তারুণ্য ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেশ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির একত্রে কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সভাপতিত্ব করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ