শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২:৩৪, ২১ জুন ২০২৫
বুশেহর প্রদেশের নিরাপত্তা প্রধান হায়দার সুসানি জানান, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে—গ্রেপ্তারকৃতদের একটি চক্র জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করছিল এবং তারা সামাজিক মনোবল দুর্বল করতে ইসরায়েলি স্বার্থকে সমর্থন জানাচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, "তারা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত ও উসকে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে।"
এর আগে, একই দিন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশে মোসাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৫৪ জনকে আটক করা হয়। খুজেস্তান প্রসিকিউটর অফিস জানায়, এই ব্যক্তিরা ‘শত্রু রাষ্ট্রের হয়ে তথ্য সংগ্রহ, রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা, গুজব ছড়ানো এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিনষ্টে’ সক্রিয় ছিল।
আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ দাবি করেছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই মোসাদের সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। একাধিক গোয়েন্দা হত্যাকাণ্ড, সাইবার হামলা এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে চলমান ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে ইরান এমন গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইরান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, ইসরায়েল তার অভ্যন্তরে অস্থিরতা ছড়াতে গোপন চক্র চালায়। তবে এই গ্রেপ্তার সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রমাণাদি এখনও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও এ ধরনের মামলার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ