শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:২৬, ২১ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৩৩, ২১ জুন ২০২৫
আহত ছোটন বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি ওই এলাকার আবুল কালামের ছেলে এবং বেসরকারি ঈশা খাঁ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের নবম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছোটনের উপর হামলা চালায় স্থানীয় মৎস্যজীবী লীগ (যা বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত) নেতা সোহেল মিয়া (৩৬) ও তার সহযোগীরা। ছোটনের দাবি, চলতি মাসের ১৩ জুন বীল চাতল ও আনুহা গ্রামের মধ্যে সংঘটিত মারামারির মামলায় তিনি ১ নম্বর সাক্ষী এবং ওই মামলার ৩ নম্বর আসামি সোহেল মিয়া—এজন্য প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে তার উপর হামলা চালানো হয়।
ছোটনের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলার সময় সোহেল মিয়ার সঙ্গে মামলার ১ নম্বর আসামি কাঞ্চন মিয়া (৫০) এবং ১২ নম্বর আসামি দিদার মিয়াও উপস্থিত ছিল। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
এসআই খালেদ শেখ বলেন, ‘আসামিরা আদালত থেকে আগাম জামিন নেওয়ার পর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। নতুন কোনো মামলা না হলে তাদের গ্রেপ্তার করা আইনত সম্ভব নয়।’ হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, মারামারির মামলায় মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তিন দিন পর ১৫ জুন উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালেদ শেখকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসকে