শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:০৬, ২০ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২২:৩৯, ২০ জুন ২০২৫
লেভির ভাষায়, বর্তমান সংকটে “দুই সপ্তাহ মানেই চিরকাল।” তাঁর মতে, যদি ট্রাম্পের অপেক্ষা শুধুই সময়ক্ষেপণ না হয়ে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর সম্ভাবনাই দিনে দিনে কমে আসছে।
তিনি সতর্ক করেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করলেও ইসরায়েল নিরাপদ থাকবে না। কারণ, ইরান পুনরায় সামরিক শক্তি গড়ে তুলতে সক্ষম এবং গাজা কিংবা অন্যান্য ফ্রন্টে হুমকি থেকেই যাবে।
ইসরায়েলি বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পকে যুদ্ধে টেনে আনা নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক কৌশলের অন্যতম দিক। কিন্তু ট্রাম্পের “সময় নেওয়ার” সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর সে চেষ্টায় বড় ধাক্কা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
এর আগে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। পরে সিবিএস নিউজ জানায়, ইরান যদি পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিলের ইঙ্গিত দেয়, তাহলে হামলার সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে।
বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “আমি এটা (হামলা) করতে পারি, আবার নাও করতে পারি।”
অন্যদিকে, ইরান সরাসরিভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা “হোয়াইট হাউসের দরজায় গিয়ে ঝুঁকবে না।” বরং ইসরায়েল হামলা বন্ধ না করলে আরও কঠোর পাল্টা আঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।
এরই মধ্যে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে খবর এসেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সামরিক সিদ্ধান্ত আসেনি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ