শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৩৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
৭০ ভিআইপির অর্থপাচার শনাক্ত করলো দুদক
চাঞ্চল্যকর এই তথ্যের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শুরু করেছে বিস্তারিত অনুসন্ধান। প্রাথমিকভাবে তারা ৭০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িকভাবে ক্ষমতাসীন বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
দুদকের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে চাওয়া হয়েছে এই ৭০ জনের আয়কর রিটার্ন, ই-টিআইএনসহ যাবতীয় কর সংক্রান্ত নথি। দুদকের উপপরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডলের স্বাক্ষরে পাঠানো চিঠি থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, অনুসন্ধান কর্মকর্তার এখতিয়ার অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র তলব করা হবে এবং দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে নেওয়া হবে আইনানুগ পদক্ষেপ।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে এবং তার মাধ্যমেই দুবাইয়ের সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছে।
প্রকাশিত তালিকায় রয়েছেন: আহসানুল করীম, আনজুমান আরা শহীদ, হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল, হুমায়রা সেলিম, জুরান চন্দ্র ভৌমিক, মো. রাব্বী খান, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, এস এ খান ইখতেখারুজ্জামান, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সৈয়দ রুহুল হক, মনজ কান্তি পাল, ফারজানা আনজুম খান, মায়নুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ।
এর আগেও, ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল দুদক একটি চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দুবাইয়ে অর্থপাচারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চায়। একই বছর ১০ এপ্রিল তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে দুদক।
সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের ১৬ জানুয়ারি দুবাইয়ে সম্পদ গড়া ৪৫৯ জন বাংলাদেশির বিষয়ে তদন্ত করতে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২০ সালের পর থেকে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের প্রপার্টি কেনার প্রবণতা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। অনেকেই দেশে না জানিয়ে সেখানে বিপুল মূল্যের সম্পদ কিনেছেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও রিয়েল এস্টেট বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে—পেছনে ফেলেছেন নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, চীন ও জার্মানির মতো দেশগুলোকেও।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি