শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৫৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির, অন্যান্য নায়েবে আমির, মহাসচিবসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এতে দলটির হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।
মিছিলে অংশ নেওয়ার আগে প্রচারিত এক লিফলেটে দলটি দাবি করে, ভারতে বসবাসকারী প্রায় ২৫ কোটি মুসলমান দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয়ভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই এ নিপীড়নের সূচনা, যা বর্তমান বিজেপি সরকারের অধীনে ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। মুসলিম নিধন, দখল ও ধর্মীয় স্থাপনার ধ্বংসযজ্ঞকে বৈধতা দিতে সম্প্রতি পাস হয়েছে ‘ওয়াকফ আইন সংশোধনী বিল ২০২৫’।
লিফলেটে বলা হয়, এই নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতের মুসলিমদের ধর্মীয় সম্পদ—মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, খানকা ইত্যাদি—সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম (বিশেষত হিন্দু) সদস্য অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রেখে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। লিফলেটে আরও জানানো হয়, ভারতে প্রায় ৯ লাখ ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ১০ লাখ একর জমি রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এই সম্পদের দিক থেকে এটি ভারতীয় সেনাবাহিনী ও রেলওয়ের পর তৃতীয় বৃহত্তম ভূমির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নির্লিপ্ত ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করে খেলাফত মজলিস বলেছে, ভারতের মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, মসজিদ ধ্বংস, নামাজে বাধা, হিজাব নিষিদ্ধকরণ, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টার্গেট করার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কোনো কার্যকর অবস্থান নেয়নি।
তারা প্রশ্ন তোলে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কেন প্রতিবেশী ভারতের নিপীড়িত মুসলিম জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াবে না? দলটির দাবি, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মুসলমানদের নিরব থাকা উচিত নয়, বরং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদে অংশ নিতে হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি