শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:২৬, ৫ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২২:২৭, ৫ জুন ২০২৫
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে, ভাটপাড়া পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসুদেবপুর মোড় এলাকায়। স্থানীয়দের সন্দেহে জগদ্দল থানা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবং তিন বাংলাদেশিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের নাম বলে—আশরাফুর রহমান, খায়রুল হাসান জুয়েল ও হাসান আরাফাত আবিদ। প্রাথমিক তদন্তে তাদের সবার কাছেই বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ভারতীয় ভিসা পাওয়া যায়। ফলে সেদিন সন্ধ্যায়ই পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
তবে পরদিন (৪ জুন) সন্ধ্যায় জগদ্দল থানা সূত্রে জানা যায়, তাদের প্রকৃত পরিচয় ভিন্ন ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। খায়রুল হাসান জুয়েল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আশরাফুর রহমানও একজন সক্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা। আর তৃতীয় ব্যক্তি, হাসান আরাফাত আবিদ, বাংলাদেশ পুলিশের একজন পলাতক কর্মকর্তা, যার বিরুদ্ধে দেশে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
তিনজনই ভাটপাড়ার বাসুদেবপুর এলাকায় তিতাস মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে গত পাঁচ মাস ধরে অবস্থান করছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে অবস্থান, রাজনৈতিক পরিচয় গোপন রাখা এবং একজন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এত গুরুত্বপূর্ণ তিনজন ব্যক্তি যে তাদের পাড়ায় ছিলেন, সেটা কেউ টেরই পাননি। এখন অনেকেই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং দুই দেশের মধ্যে কনসুলার পর্যায়ে যোগাযোগ হচ্ছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ