শিরোনাম
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:৫৩, ২ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা। তিনি বলেন, ‘গত ১ আগস্ট বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, মণিরামপুরে আটক কয়েকজন যুবককে যুবদল কর্মী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অথচ তাদের কারোরই যুবদলের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই তথ্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তিনি আরো জানান, আটক আবু সিনহা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, সাইফুল ইসলাম পেশায় মোটরসাইকেল চালক, শামীমুর রহমান টুটুল মাছের আড়তের কর্মচারী এবং পলাতক ফয়সাল হুমায়ুন একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মাদক কারবারি। তার পিতা গাউসুল মুস্তাক মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। আটক অপর যুবক আলম খানও যুবদলের কেউ নন।
আনসারুল হক রানা বলেন, ‘একটি মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যুবদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম. তমাল আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন বাবু, আমিনুর রহমান মধু, নাজমুল হোসেন বাবুল, আরিফুল ইসলাম আরিফ, রবিউল ইসলাম রবি, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মণিরামপুর পৌর এলাকার গরুহাট মোড়ের হোটেল রজনী নিবাস থেকে পুলিশ একটি খেলনা পিস্তল ও একটি ধারালো চাকুসহ চারজনকে আটক করে। অভিযানের সময় হোটেল মালিক গাউসুল মোস্তাকের ছেলে ফয়সাল হুমায়ুন পালিয়ে যান। পরদিন শুক্রবার আটক পাঁচ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে