শিরোনাম
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:২২, ৭ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৭:২৫, ৭ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে দেখা যায় বাঘাইছড়ি উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটি বঙ্গলতলী, মারিশ্যা, রূপকারী, খেদারমারা, বাঘাইছড়ি ও আমতলী ইউনিয়নের অনেক গ্রাম ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বাঘাইছড়ি পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি ওয়ার্ড পানিতে তলিয়ে গেছে বন্ধ হয়ে গেছে অভ্যন্তরিণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। কাচালং নদী এবং কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে এই নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলী জমির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের সড়ক প্লাবিত হয়ে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম অবনতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আখতার জানান, দুর্গতদের জন্য ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করতে।
লংগদু উপজেলার মাইনী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার ঝরনা টিলা, ভাসাইন্যাদম ইউনিয়ন, বগা চত্বর ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া, গুলশাখালী ইউনিয়নের সোনাগাঁও পাড়া, মাইনী ইউনিয়নের এফআইডিসি বড় কলোনি পানিতে তলিয়ে গেছে। বিলাইছড়ি উপজেলা সদর, ধূপ্পারছড়, বহলতলী, বাঙ্গালকাটা এলাকাসহ নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতেও কাপ্তাই হ্রদের পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া জেলার নানিয়ারচর ও রাঙামাটি সদরের নিচু এলাকাও প্লাবিত হয়েছে।
রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন বলেন, তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে। সেই অনুযাযী খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ