শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:০৬, ৭ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এর আগে ঘটনার দিন গত ৩ আগস্ট তাদের চার মাস বয়সী পুত্রসন্তান মারা যায়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় হাফিজা খাতুন (২০) ও তার স্বামী রিপন মিয়া (২৩) সাড়ে চারটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তাদের মধ্যে হাফিজার শরীরের ৭৬ শতাংশ ও রিপনের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের মরদেহ বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের চার মাস বয়সী একমাত্র সন্তান রায়হান মারা যায়।
মৃত রিপনের মামা ফেরদৌস আহমেদ জানিয়েছেন, গত শনিবার দিবাগত ভোররাতে (৩ আগস্ট) বৈদ্যুতিক সুইস দিতেই আগুন লেগে যায়। এতে তারা স্বামী স্ত্রী সন্তান তিনজনই পুড়ে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার দুদিন আগে শুক্রবার সিলিন্ডার কিনে এনে লাগানো হয়েছিল।
শনিবার রাতেই কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ হয়ে পুরো ঘর গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়েছিল। ভোরের দিকে তাদের বাচ্চার কান্নাকাটিতে উঠে কোনো কিছু না বুঝেই দ্রুত সুইচ দিতেই এ ঘটনা ঘটে ।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামে রিপনের বাড়ি। পাশের গ্রামে পূর্ব পারুলীতলা তার স্ত্রী হাফিজা খাতুনের বাড়ি। দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।
রিপন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিংয়ে চাকরি করতেন। হাফিজা ছিলেন গৃহিণী। তাদের একমাত্র সন্তান ছিল রায়হান।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ