শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:৫৫, ৬ আগস্ট ২০২৫
শহীদ আবদুল্লাহ
তিনি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের বর্শিকুড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও ফাতেমা তুজ জোহরা দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান।
সন্তান হারানোর গভীর শোকে ভেঙে পড়েন তার বাবা জাহিদুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত সেই শোক সহ্য করতে না পেরে ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
শহীদ আবদুল্লাহর পরিবারে তখন নেমে আসে আরেকটি বিপর্যয়। তার ছোট ভাই মাহমুদউল্লাহ বিন জাহিদ ( জিসান) সে পাইওনিয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী, বর্তমানে দুরারোগ্য ক্লোন ক্যানসারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে ঢাকার একটি হাসপাতালে। একদিকে ভাইয়ের মৃত্যু, অন্যদিকে বাবার অকাল প্রয়াণ, আর নিজের রোগব্যাধি—সব মিলিয়ে জিসান আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।
একের পর এক দুঃখজনক ঘটনার ভারে নুয়ে পড়েছে এই শহীদ পরিবার। যে তরুণ আবদুল্লাহ গণআন্দোলনের বিজয়ের স্বপ্ন নিয়ে রাজপথে নেমেছিল, সেই তারুণ্যের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে জাতীয় ইতিহাস। শহীদ আব্দুল্লাহর মা ফাতেমা তুজ জোহরা আক্ষেপ করে বলেন বিজয়ের শেষ মুহুর্তে এমন মৃত্যু হবে কল্পনা করতে পারিনি।
বিগত বছর আগস্ট মাসের এ দিনটিতে সকাল সাড়ে ১০ টায় ছেলেকে নিয়ে একসাথেই খাচ্চিলাম। আজ এ দিনটাই হলো ছেলের মৃত্যু দিবস! আর সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ হলো ওর জন্ম তারিখ। আমার ছেলের জন্ম ও মৃত্যুর তারিখটা আমি কোন দিনও ভুলবো না।
তারপরও ছোট ছেলেটার জন্য আমাকে বেঁচে থাকতে হবে বলে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে