ঢাকা, বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

২২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম

Scroll
নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা
Scroll
তফসিলের আগে এসপি-ওসিদের লটারির মাধ্যমে বদলি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Scroll
হাসনাত-সারজিস-জারাসহ ৫ নেতাকে শোকজ দিল এনসিপি
Scroll
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে: সিইসি
Scroll
তফসিল দেওয়া হবে ভোটের দুই মাস আগে: সিইসি
Scroll
গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চেয়েছে ইসি
Scroll
ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বিএনপি
Scroll
বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যায় ৩০ আসামির বিচার শুরু
Scroll
বিমান বিধ্বস্তের ১৫ দিন পর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে পাঠদান শুরু
Scroll
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজন নিহত
Scroll
আজ ২২ শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৮তম প্রয়াণবার্ষিকী
Scroll
হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলার ৮০ বছর পূর্তি আজ

শহীদ আবদুল্লাহর পরিবারে একের পর এক শোকাবহ ঘটনা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬:৫৫, ৬ আগস্ট ২০২৫

শহীদ আবদুল্লাহর পরিবারে একের পর এক শোকাবহ ঘটনা

শহীদ আবদুল্লাহ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরে উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে পুরো দেশ। সেই সময়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বিজয় মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহ বিন জাহিদ। কিন্তু সেই আনন্দের মিছিলেই ঘটে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা—পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবদুল্লাহ।

তিনি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের বর্শিকুড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও ফাতেমা তুজ জোহরা দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান।

সন্তান হারানোর গভীর শোকে ভেঙে পড়েন তার বাবা জাহিদুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত সেই শোক সহ্য করতে না পেরে ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

শহীদ আবদুল্লাহর পরিবারে তখন নেমে আসে আরেকটি বিপর্যয়। তার ছোট ভাই মাহমুদউল্লাহ বিন জাহিদ ( জিসান) সে পাইওনিয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী, বর্তমানে দুরারোগ্য ক্লোন ক্যানসারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে ঢাকার একটি হাসপাতালে। একদিকে ভাইয়ের মৃত্যু, অন্যদিকে বাবার অকাল প্রয়াণ, আর নিজের রোগব্যাধি—সব মিলিয়ে জিসান আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।

একের পর এক দুঃখজনক ঘটনার ভারে নুয়ে পড়েছে এই শহীদ পরিবার। যে তরুণ আবদুল্লাহ গণআন্দোলনের বিজয়ের স্বপ্ন নিয়ে রাজপথে নেমেছিল, সেই তারুণ্যের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে জাতীয় ইতিহাস। শহীদ আব্দুল্লাহর মা ফাতেমা তুজ জোহরা আক্ষেপ করে বলেন বিজয়ের শেষ মুহুর্তে এমন মৃত্যু হবে কল্পনা করতে পারিনি।

বিগত বছর আগস্ট মাসের এ দিনটিতে সকাল সাড়ে ১০ টায় ছেলেকে নিয়ে একসাথেই খাচ্চিলাম। আজ এ দিনটাই হলো ছেলের মৃত্যু দিবস! আর সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ হলো ওর জন্ম তারিখ। আমার ছেলের জন্ম ও মৃত্যুর তারিখটা আমি কোন দিনও ভুলবো না।

তারপরও ছোট ছেলেটার জন্য আমাকে বেঁচে থাকতে হবে বলে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করেন।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে

আরও পড়ুন