শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:১২, ৬ আগস্ট ২০২৫
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
সিইসি জানান, নির্বাচন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সময়মতো আয়োজনের প্রস্তুতি রয়েছে ইসির। নির্বাচনের পরিবেশ স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলগুলোর পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। তিনি বলেন, ইসির দায়িত্ব হবে সবাইকে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনকে আয়নার মতো স্বচ্ছ করে তোলা, যাতে বিশ্ববাসী দেখতে পারে—ইসি আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি রাখেনি।
ভোটারদের আস্থা ফেরাতে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সিইসি বলেন, ইসি চায় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আসুক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভালো আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ অবস্থা আরো উন্নত হবে।
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, এতে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হবে না এবং কারো ব্যক্তিগত চেহারা দেখে সীমানা নির্ধারণ করা হবে না।
রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে সিইসি জানান, যেসব দল নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদের চিঠি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে যাদের কাগজপত্র ঠিক থাকবে, তাদের মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই করা হবে এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হবে।
তিনি আরো বলেন, ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়েছে এবং তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত নতুন তরুণ ভোটারদের তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হবে।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন। এক মাসব্যাপী পরিকল্পনার আওতায় এ আলোচনা চলবে।
সিইসি বলেন, ইসির বড় চ্যালেঞ্জ হলো—ভোটারদের কেন্দ্রে আনা এবং জনগণের আস্থা ফেরানো। ইসি যদি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে জনগণের আস্থা আবার ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, ভোটে রাজনৈতিক দল নয়, মূলত ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণই নির্বাচনের প্রকৃত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। কেউ যদি চাপ প্রয়োগ করে, তাহলে প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
শেষে সিইসি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাতে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে ইসি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে