শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৪৪, ৫ আগস্ট ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন । ছবি: প্রথম আলো
ঘোষণাপত্র পাঠের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, “বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সকল শহীদকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করছে। শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা ও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র–জনতার প্রতি পূর্ণ সম্মান ও প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা প্রদানের অভিপ্রায় জানাচ্ছে।”
প্রকাশিত ঘোষণায় আরও বলা হয়, বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ–অভ্যুত্থান চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সংঘটিত গুম, খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন এবং সম্পদ লুণ্ঠনের বিষয়গুলো তদন্ত করে অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে জনগণের সুস্পষ্ট ও দৃঢ় অভিপ্রায় রয়েছে।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, “৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত গণ–অভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন হিসেবে এই জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হলো।”
এছাড়া ‘ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’-কে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়ে বলা হয়, “পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের অধীনে সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সংযোজিত থাকবে।”
ঘোষণাপত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার দেশত্যাগের প্রসঙ্গ। এতে বলা হয়, “অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ৫ আগস্ট ঢাকামুখী লংমার্চ এবং ছাত্র–জনতা ও সকল শ্রেণি–পেশার মানুষ কর্তৃক সংঘটিত সর্বাত্মক গণ–আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে, গণভবনমুখী উত্তাল যাত্রার মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হন।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ