শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:২২, ৪ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন জানান, রোববার রাতে তিনি চট্টগ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং পরে ক্লাবের গেস্ট হাউজে রাত্রিযাপন করেন। সকালে তার একটি মিটিং নির্ধারিত থাকলেও তিনি কোনো সাড়া দিচ্ছিলেন না।
তিনি বলেন, “একাধিকবার ফোন করা হলেও রেসপন্স করেননি। দরজায় নক করেও কোনো সাড়া না পেয়ে পরে ক্লাবের নিরাপত্তা কর্মীরা বারান্দার গ্লাস দরজা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করে। তখন বিছানায় তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত না হওয়ায় মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। পরে ময়নাতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), ক্রাইম সিন ইউনিট এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে কি না, তা নির্ভর করছে পরিবারের অনুমতির ওপর।
প্রসঙ্গত, এম হারুন-অর-রশীদ ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসরের পর তিনি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন।
সাবেক এই সেনাপ্রধানের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম ও জাতীয় পর্যায়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ