শিরোনাম
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:২৩, ৪ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
আয়ের উৎস বলতে পরিবারটি প্রতিবন্ধী ভাতা আর বৃদ্ধ বাবা-মায়ের অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা আয় হয়, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চালান। প্রয়োজনে মা মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে ছেলেদের ভরণপোষণের চেষ্টা করেন।
পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আলম আলী স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা থাকেন। একজন ছেলে মারা গেছেন। অসহায় দম্পতি এখন দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়েই চরম কষ্টে দিন পার করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের দানকৃত জমিতে নির্মিত জরাজীর্ণ একটি ঘরে বসবাস করছেন তারা। ঘরের এক কোণে দুই প্রতিবন্ধী সন্তান শুয়ে আছে, আর মা তাদের সেবা-যত্নে ব্যস্ত। সংসারের নানা কাজের ফাঁকে বৃদ্ধ বয়সেও তিনি পরিশ্রম করে স্বামী ও ছেলেদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
মোছা. আলেয়া বেগম বলেন, “স্বামী আর দুই প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটে। যতটুকু পারি, অন্যের বাড়িতে কাজ করি। মাঝে মাঝে মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে হয়। না হলে খাওয়া-দাওয়া কিছুই চলে না। বড় ধরনের সহায়তা পেলে এই দুই প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে পারতাম।”
প্রতিবন্ধী দুই ছেলের বড় ভাই আলম আলী বলেন, “আমি নিজেই গরিব মানুষ। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কষ্টে সংসার চালাই। তারপরও যতটুকু পারি, বাবা-মা ও ভাইদের সাহায্য করি। কিন্তু ওদের চিকিৎসা আর নিয়মিত খাবার জোগানো আমার পক্ষে সম্ভব না। এজন্য সরকারি-বেসরকারি সহায়তা প্রয়োজন।”
গোয়ালডিহি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন বলেন, “পরিবারটির অবস্থা সম্পর্কে আমি জানি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা পেলে তাদের জীবনমান কিছুটা উন্নত হতে পারে।”
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তমিজুল ইসলাম বলেন, “দুই প্রতিবন্ধী ভাই ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। তবে প্রতিবন্ধী দুই ভাই ও তাঁদের বাবা-মার ভরণপোষণসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে ইউএনও মহোদয় ও ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ