শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:০৯, ৪ আগস্ট ২০২৫
তাওহিদুল আলম জিসান । ছবি: সংগৃহীত
তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮) এর আগে সরকারি ঘোষণায় শহীদের মর্যাদা পেয়েছিলেন। তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি ভুলতা ইউনিয়নের মাছুমাবাদ এলাকায়।
গত বছরের ৩০ জুলাই রাতে ছুরিকাঘাতে খুন হন জিসান। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা আলমগীর মোল্লা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় জিসানের বন্ধু নাঈম ও তার বাবা কামালের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়। পরে চলতি বছরের ৫ আগস্ট, আলমগীর মোল্লা নতুন করে আদালতে আরও একটি সিআর মামলা দায়েরের চেষ্টা করেন। সেখানে প্রথম মামলার দুই আসামিসহ নতুন করে আরও ২৮ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, নতুন তালিকাভুক্ত অধিকাংশ ব্যক্তি বাদীর ব্যক্তিগত বিরোধের শিকার। তাদের মধ্যে বিএনপি, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরাও রয়েছেন।
জিসানের নাম বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না থাকলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, গেজেটভুক্তির সময় আন্দোলনে তার সরাসরি সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
তবে জিসানের পরিবারের দাবি, তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাঠ পর্যায়ের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং ৩০ জুলাই রূপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েই ফেরার পথে তিনি হামলার শিকার হন। নতুন মামলা ও নাম বাদ দেওয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বলেও অভিযোগ করেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৮৪৪ জন শহীদের তালিকা সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়। সর্বশেষ ৩ আগস্টের প্রজ্ঞাপনে তাওহিদুল আলম জিসানসহ মোট ৮ জনের নাম বাতিল করা হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ