শিরোনাম
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৪৪, ৪ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
প্রধান শিক্ষিকা শামিমা ইয়াছমিন বলেন, ‘বিকালে শিক্ষা অফিস থেকে ফোন পেয়ে ছবিটি আমি নিজেই খুলে বিদ্যালয়ের একটি আলমারির চিলেকোঠায় রেখে দিয়েছি।’
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘দেশের পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার সব বিদ্যালয় থেকেই বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই। আমি বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাকে বলার পর তিনি ছবি সরিয়ে ফেলেন।’
তবে এর আগে শামিমা ইয়াছমিন বলেছিলেন, ‘আমার বাবা মইনুদ্দিন মাস্টার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা; আমি ছবি নামাবো না। কেউ যদি অপসারণ করে, সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করি ও ভালোবাসি। তার অপমান কখনোই চাইব না।’
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য হলেও কেবল একপক্ষের ছবি ঝুলিয়ে রাখলে তা অন্য দলের প্রতি বৈষম্য তৈরি করে। তাদের দাবি, ইতিহাসে অবদান রাখা সব জাতীয় নেতার সম্মান রক্ষা করা উচিত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখা প্রয়োজন।
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আজাহারুল ইসলাম টুটুল বলেন, ‘১৭ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এককভাবে বঙ্গবন্ধু ও হাসিনার ছবি টানিয়ে রাখা হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব যেন ছিলই না— এমনভাবে ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা এর বিরোধিতা করি।’
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নেছারাবাদ উপজেলার কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো নেই। শুধু সোনারঘোপ রমেশ চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষেই ছবি ঝুলানো ছিল।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ