ঢাকা, সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫

১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৮ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম

Scroll
এনসিপির ২৪ দফা ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা
Scroll
আগামী ৫ বা ৮ আগস্টে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
Scroll
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য শুরু, সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে বিচার
Scroll
পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হবে এ মাসেই
Scroll
ঢাকায় আজ তিন সমাবেশ, দুই পরীক্ষা: যান চলাচলের বিশেষ নির্দেশনা ডিএমপির
Scroll
বিমান বিধ্বস্তের ১৪ দিনের মাথায় খুলেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
Scroll
পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ২
Scroll
পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক শমশের আলী ইন্তেকাল করেছেন
Scroll
গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষকে গুলি, নিহত আরো ৬২ জন
Scroll
নারী কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে শিরোপা ব্রাজিলের

গোমতী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯:৫৭, ৩ আগস্ট ২০২৫

গোমতী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস

কুমিল্লা জেলার গোমতী নদীর জায়গায় গড়ে ওঠা ৫০৮টি অবৈধ দখল ও স্থাপনা আগামী ছয় মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (৩ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন।

রায়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসককে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, নদী দখল ও মাটি ভরাট কার্যক্রম যাতে আর না হয়, সে জন্য কুমিল্লার পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি)-এর পক্ষে ২০১১ সালে রিটটি দায়ের করা হয়। গণমাধ্যমে গোমতী নদী দখল সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষাপটে সংগঠনটি এই রিট করে। প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং গোমতী নদীর সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ দখলদার ও স্থাপনার তালিকা আদালতে জমা দিতে বলেন।

পরবর্তীতে সরকারি জরিপে মোট ৬২৩টি অবৈধ স্থাপনার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২৬৫টি স্থাপনা ইতোমধ্যে উচ্ছেদ হয়েছে বলে আদালতে হলফনামা জমা পড়ে।

রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, যাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল ও নাছরিন সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহসিন কবির।

রায় অনুযায়ী, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আগামী তিন মাসের মধ্যে গোমতী নদী ডেজিং (খনন) বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বিষয়ক সিদ্ধান্তও আগামী তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, প্রয়োজনে এলআর (ল্যান্ড রেভিনিউ) ফান্ড ব্যবহার করে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করতে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন