শিরোনাম
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:৫৭, ৩ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
রায়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসককে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, নদী দখল ও মাটি ভরাট কার্যক্রম যাতে আর না হয়, সে জন্য কুমিল্লার পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি)-এর পক্ষে ২০১১ সালে রিটটি দায়ের করা হয়। গণমাধ্যমে গোমতী নদী দখল সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষাপটে সংগঠনটি এই রিট করে। প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং গোমতী নদীর সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ দখলদার ও স্থাপনার তালিকা আদালতে জমা দিতে বলেন।
পরবর্তীতে সরকারি জরিপে মোট ৬২৩টি অবৈধ স্থাপনার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২৬৫টি স্থাপনা ইতোমধ্যে উচ্ছেদ হয়েছে বলে আদালতে হলফনামা জমা পড়ে।
রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, যাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল ও নাছরিন সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহসিন কবির।
রায় অনুযায়ী, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আগামী তিন মাসের মধ্যে গোমতী নদী ডেজিং (খনন) বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বিষয়ক সিদ্ধান্তও আগামী তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, প্রয়োজনে এলআর (ল্যান্ড রেভিনিউ) ফান্ড ব্যবহার করে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করতে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে