ঢাকা, সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫

১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৮ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম

Scroll
এনসিপির ২৪ দফা ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা
Scroll
আগামী ৫ বা ৮ আগস্টে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
Scroll
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য শুরু, সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে বিচার
Scroll
পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হবে এ মাসেই
Scroll
ঢাকায় আজ তিন সমাবেশ, দুই পরীক্ষা: যান চলাচলের বিশেষ নির্দেশনা ডিএমপির
Scroll
বিমান বিধ্বস্তের ১৪ দিনের মাথায় খুলেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
Scroll
পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ২
Scroll
পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক শমশের আলী ইন্তেকাল করেছেন
Scroll
গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষকে গুলি, নিহত আরো ৬২ জন
Scroll
নারী কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে শিরোপা ব্রাজিলের

৯৪ দিন পর চেনা রূপে কাপ্তাই হ্রদ

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬:৪৭, ৩ আগস্ট ২০২৫

৯৪ দিন পর চেনা রূপে কাপ্তাই হ্রদ

ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস

আবারো প্রাণচাঞ্চল্য হয়ে উঠেছে কাপ্তাই হ্রদ। জাল ও জেলের মিতালি শুরু হয়েছে ফের ৯৪ দিন পর। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি এবং অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকে। কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই তিন মাস পর নির্দিষ্ট সময়ে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। অন্যান্য বছর ২-৩ দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় চার মাস পর মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতো।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর আবারো ফিরে এসেছে কাপ্তাই হ্রদের সেই চিরচেনা রূপ। রবিবার ভোর হতেই জেলেদের আহরণকৃত মাছ বোটে করে নিয়ে আসা হয় রাঙামাটি জেলার সর্ববৃহৎ অবতরণ কেন্দ্র ফিসারি ঘাটে। এতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে পল্টুন। মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা শুরুর সময় থেকে কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় মাছের আকার বড় হওয়ার আশাবাদ থাকলেও প্রথমদিনের মাছের আকারে হতাশ জেলে ও ব্যবসায়ীরা। প্রথমদিনেই প্রত্যাশিত কাচকি মাছ পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র চাপিলা পাওয়া গেলেও সাইজে ছোট। পোনা চাপিলা ছাড়া কার্প জাতীয় অন্যান্য মাছ তেমন একটা জালে পড়েনি বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

জেলে রহিম মিয়া জানান, হ্রদে প্রচুর পানি এবং স্রোত থাকায় জাল টানা যাচ্ছে না। পানি স্থির না হওয়া পর্যন্ত জালে মাছ আসবে কম। তবুও দীর্ঘ দিন পর জাল নিয়ে হ্রদে নামতে পারায় আমরা সবাই খুশি। তিনি আরো জানান, বন্ধকালীন বেকার সময় কেটেছে। পরিবার নিয়ে কষ্টে ছিলাম। আশা করি জালে মাছ আসবে। আমাদের কষ্ট দূর হবে।

আরেক জেলে সালাউদ্দিন জানান, কয়েক জায়গায় জাল ফেলেছি। ৩০০ কেজির মতো মাছ পেয়েছি। সবগুলো চাপিলা পোনা। কাচকি ও বড় মাছ খুব একটা পাইনি।

কাপ্তাই হ্রদ বৃহত্তর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর শুক্কুর বলেন, মাছের কালেকশন ভালো, তবে সাইজে ছোট। মাছ আহরণ বন্ধের শুরু থেকে হ্রদে বৃষ্টি থাকায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়নি। একটু রোদ পড়লেই মাছ বড় হয়ে যাবে। আশা করছি এ বছর ভালো ব্যবসা হবে।

কাপ্তাই হ্রদ বৃহত্তর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কবির আহমেদ বলেন, যা মাছ এসেছে, সব চাপিলা ছোট মাছ। এগুলো ঢাকাতে দাম পাই না। এ ছাড়া চাপিলাতে প্রতি কেজি রাজস্ব দিতে হয় ২১.৫০ টাকা। ঢাকা পৌঁছাতে আরো খরচ হয় কেজি প্রতি ৬০ টাকা। অর্থাৎ ঢাকা যখন পৌঁছায় তখন এর খরচ পড়ে ৮০ টাকা। এখন কত টাকা বিক্রি করবো, আর জেলেদের কত টাকা দিবো? সরকার যদি চাপিলাতে রাজস্ব কমিয়ে ১০ টাকা করে, তবে জেলেরা কিছু টাকা পেতো। প্রয়োজনে কাচকিতে ২ টাকা বাড়তি রাজস্ব নিক।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেন, গত বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে সাত হাজার মে. টন। আমরা নয় হাজার মে. টন মাছ আহরণ করেছি। এ বছরও আশা করছি গত বছরের ন্যায় মাছ পাবো। প্রথম দিন মাছের সাইজ একটু ছোট হলেও আশা করছি সময় গেলে সেই সমস্যা আর থাকবে না।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন