শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:৩৯, ৩ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
চালকের অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে মালামাল তুলতে যাচ্ছিলেন। সে উদ্দেশ্যে কভার্ডভ্যানটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের পাশে পার্ক করে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎই একদল সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী তার কাভার্ডভ্যান ঘিরে ফেলে। তাদের মধ্যে একজন ধারালো ছুরি হাতে চালককে জোর করে গাড়ি থেকে টেনে নামায়। এরপর চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগ তারা ছিনিয়ে নেয়।
তবে এখানেই শেষ হয়নি তাদের বর্বরতা। চালকের পিঠ থেকে কোমর পর্যন্ত ছুরিকাঘাত করা হয় একাধিকবার। আহত চালকের সহকারী হেলপার আব্দুলের চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে আসেন এবং চালক মোস্তফাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। একইসঙ্গে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে উপস্থিত লোকজন ছিনতাইকারী দলের একজনকে ধাওয়া করে পাকড়াও করেন।
স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়া ছিনতাইকারী হলেন, বাবুরাইল এলাকার শাহীন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আলী হোসেনের ছেলে জুয়েল আহমেদ (৩৫)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনার পরপরই আমরা একজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তার দেওয়া তথ্যমতে অন্যদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
আহত মোস্তফা মিয়াকে বর্তমানে একটি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। তবে মানসিকভাবে তিনি এখনো আতঙ্কগ্রস্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া জুয়েল আহমেদের নামে পূর্বে আরো কয়েকটি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যা যাচাই-বাছাই চলছে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী চালক মোস্তফা মিয়ার পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্যান্য জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে