শিরোনাম
সংবাদ প্রতিবেদক, ম্যানিটোবা, কানাডা
প্রকাশ: ১৫:১৫, ৪ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৪৯, ৪ আগস্ট ২০২৫
সভায় বক্তারা ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তারা বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যে জনজাগরণ তৈরি হয়েছিল, তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না—এই প্রতিশ্রুতি নিয়েই তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে চান।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ম্যানিটোবা বিএনপির আহ্বায়ক ড. ইফতেখার হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ দমন-পীড়নের অধীনে। ৫ আগস্টের স্মৃতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে জনগণই শেষ ভরসা। সভা সঞ্চালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক রেজওয়ান এলাহী। তিনি বলেন, প্রবাসে থেকেও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আমরা ভুলিনি। যারা শহীদ হয়েছেন, তারা আমাদের হৃদয়ে চিরঞ্জীব।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জুহাইর হাসান, এনামুল মোল্লা, সোয়েবুর রহমান, খালেদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, যুগ্ন আহ্বায়ক বশির উদ্দিন ও যুগ্ন আহ্বায়ক ড. আমিনুর রহমান, লেখক, সাংবাদিক এবং সোশ্যাল এক্টিভিস্ট মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান। তারা বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে—বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নত করে না। আন্দোলনে শহীদ হওয়া তরুণ-যুবকেরা আমাদের অনুপ্রেরণা। তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য ও জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদুল আলম বলেন, ‘দেশে যখন ভোটাধিকার হরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও দমননীতি চলে, তখন প্রতিরোধই মানুষের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে ওঠে। শহীদদের রক্ত আমাদের কাছে ঋণ রেখে গেছে। এই ঋণ শোধ করতে হলে আন্দোলনকে বিজয়ে পরিণত করতে হবে।’
কানাডার পার্লামেন্ট সদস্য টেরি ডুগুইড-এর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতিনিধি আদিল হায়াত সভায় উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ২০২৪ সালে যে সাহস ও আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক পরিসরেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এমপি ডুগুইড বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ও স্বাধীন মত প্রকাশের পক্ষে আছেন। তিনি কানাডার পক্ষ থেকে একটি ইনক্লুসিভ ও ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০২৬ সালের নির্বাচন হবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজেদের অবস্থান থেকে আন্তর্জাতিক মহলে গণতন্ত্রের পক্ষে জনমত তৈরি করতে সচেষ্ট থাকবেন। তারা মনে করেন, আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য প্রবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা আজ সময়ের দাবি।
আলোচনা শেষে ২০২৪ সালের আন্দোলনে শহীদ হওয়া নেতা-কর্মীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ