ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

১৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৪ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম

Scroll
সাইবার হামলার শঙ্কা: সতর্কতা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
Scroll
৩৯ আসনের সীমানায় পরিবর্তন: গাজীপুরে বেড়েছে, বাগেরহাটে কমেছে
Scroll
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ: দণ্ডাদেশের রায় বাতিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক খালাস
Scroll
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
Scroll
রংপুরে গঙ্গাচড়ায় হিন্দু পাড়ায় হামলার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার
Scroll
রায় জালিয়াতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত
Scroll
রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া দুই কোটি টাকার চেক উদ্ধার
Scroll
রাশিয়ায় আট দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত, সুনামির সতর্কতা
Scroll
সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিবে যুক্তরাজ্য; কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে কিয়ার স্টারমারের ঘোষণা
Scroll
উরুগুয়েকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল নারী দল

ফেসবুক লাইভে কেঁদে উমামা কী বললেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:২৪, ২৮ জুলাই ২০২৫

ফেসবুক লাইভে কেঁদে উমামা কী বললেন?

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র ও সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা প্রশ্ন তুলেছেন, জুলাই কেন মানি মেকিং মেশিন হবে? রবিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আনফরচুনেটলি সেটা হয়েছে।

প্রায় দুই ঘণ্টার ভিডিওতে তিনি বলেন, কারো ক্ষতি করার বা অসম্মান করার ইচ্ছা তার নেই। আন্দোলনের সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা শ্লোগান দিতে দিতে কখনো ভাবিনি শিশুরাও রাস্তায় নামবে, জীবন দেবে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা লড়েছি, সেখান থেকেই এক বছর টিকে ছিলাম। কারণ আমরা একটা স্বপ্ন দেখছিলাম।

উমামা জানান, ৫ আগস্টের পর তিনি আর চালিয়ে যেতে পারছিলেন না। দেশকে আরো বড় পরিসরে কিছু দেওয়ার চিন্তা থেকে ছাত্র ফেডারেশন থেকে সরে এসে স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করেন। তখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কারণ, তিনি প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

জুলাই আন্দোলনে সমন্বয়কদের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ৫২, ৬২ বা ১৫৮ জন সমন্বয়কের কথা বলা হলেও তারা তেমন কার্যকর ছিল না। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছিল। তার মতে, সমন্বয়কদের চেয়ে অন্যদের কাছ থেকেই বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন র‍্যালি ও কর্মসূচির সময় সমন্বয়ক পরিচয়ে একেকজন একেক জায়গা দখল করেছে। কেউ কেউ চাঁদাবাজিও করেছে। তার ভাষায়, ‘এখন কি সমন্বয়করা আওয়ামী লীগের রক্ষী বাহিনীর মতো হয়ে যাচ্ছে? আস্তে আস্তে সব জায়গা দখল করে ফেলছে তারা।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সমন্বয়কদের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। বলেন, এখন দরকার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা শুধু ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না— সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করা যাবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তাদের দায়িত্ব এখানেই শেষ নয়, বরং এটি আরো ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।

উমামা অভিযোগ করেন, আন্দোলনের নামে কেউ কেউ টেন্ডার ও তদবির বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন, ডিসি নিয়োগেও প্রভাব খাটিয়েছেন। বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারিনি, এটি দিয়ে টাকা-পয়সা ইনকাম করা যায়। আমি মুখপাত্র হওয়ার পর আবিষ্কার করলাম, অনেকেই এটা করছে।’

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেন, আমি কত হাজার কোটি টাকা কামিয়েছি? তাদের আমি বলতে পারি, আমার একটি ভালো জীবন আছে। ভালো পরিবারের সদস্য। এত খারাপ অবস্থা আসেনি। আমার স্কলারশিপেরও প্রয়োজন নেই। আমার পরিবারের সাপোর্ট আছে। তারা চায়, আমি দেশের জন্য কিছু করি।’

তিনি আরো বলেন, এসব প্রশ্ন তোলার কারণেই অনেক শত্রু তৈরি হয়েছে, অনেকেই ভুল বুঝেছে। তবে জেলার পর জেলা ঘুরে দেখেছি, অনেক তরুণ দেশকে গড়ে তুলতে চায়। তারাই এখন আশার জায়গা।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

আরও পড়ুন