শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৫৯, ২৭ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্গানোগ্রাম (সাংগঠনিক কাঠামো) অনুযায়ী এখন থেকে শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি কার্যকর থাকবে, বাকিসব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘পরাজিত একটি মহল এ প্ল্যাটফর্মকে কলুষিত করতে চায় এবং নানাভাবে এটি ব্যবহার করছে’ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে সংগঠনের এক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশানে এক সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার পর রিয়াদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবারই তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান রিমান্ডের আবেদন দাখিল করেন। মামলার অন্য তিন রিমান্ড আবেদনপ্রাপ্ত আসামি হলেন—সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
এ মামলায় বাদী হিসেবে অভিযোগ করেন সিদ্দিক আবু জাফর। তিনি জানান, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় যান। তারা সেখানে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। দাবি মেনে না নেওয়ায় শাসানো হয়, বলা হয়—আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ায় তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর, বাদী সিদ্দিক জাফর বাধ্য হয়ে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে আরও পাঁচ লাখ টাকা এনে দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। শুধু তাই নয়, ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু ফের তার বাসায় এসে দরজায় জোরে ধাক্কা দেন। তখন গুলশান থানায় ফোন করলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
মামলায় আসামি হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন—আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন এবং আইনের সংঘাতে জড়িত কিশোর মো. আমিনুল ইসলাম।
চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ এবং নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেশের বিভিন্ন শাখা ও ইউনিট স্থগিত করে সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে