শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৫৫, ২৬ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৬:০০, ২৬ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জিয়া পরিষদ’ আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ এখন এক গভীর সংকটকাল অতিক্রম করছে। জাতি এক ক্রান্তিকালে উপনীত হয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভব করা যাচ্ছে। এই কাঠামো এমন হতে হবে, যা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।
বিগত সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ধরে দেশকে গভীর ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে আইন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যখাত—সব কিছু তারা দুর্বল ও বিকৃত করে ফেলেছে। এমনকি, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, সেই রাজনৈতিক দলগুলোর কাঠামোও তারা ধ্বংস করে দিয়েছে নানা দমন-পীড়নের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘ভিশন ২০৩০’ নামে একটি রাজনৈতিক রূপরেখা দিয়েছিলেন, যেখানে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের স্পষ্ট দিকনির্দেশনা ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় তারেক রহমান ২০২২ সালে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব।
তবে এসব পরিবর্তন একদিনে হবে না বলেই মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সংস্কার একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আপনি চাইলে কাল থেকেই পুলিশ ঘুষ খাওয়া বন্ধ করে দেবে—এটা বাস্তবসম্মত ধারণা নয়। কিন্তু একটি উপযুক্ত কাঠামো তৈরি করতে হবে, যেখানে ঘুষ খাওয়ার সুযোগ থাকবে না। প্রশাসন বা আমলাতন্ত্র যে দেশের উন্নয়নে বড় বাধা, সে কথাও তিনি জোর দিয়ে বলেন।
নির্বাচন ইস্যুতে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আর সেই প্রতিনিধিত্বের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য। বিএনপি নির্বাচন চায় বললেই কেউ যেন এটাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করে। প্রশ্ন হচ্ছে—জনপ্রতিনিধি ছাড়া পার্লামেন্ট হবে কীভাবে? আর পার্লামেন্ট না থাকলে জনগণের শাসনের ধারণাই অর্থহীন হয়ে পড়ে।
সততার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি যদি জনগণের আস্থা অর্জন করতে চায়, তাহলে তার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো সততা। আজকাল কিছু সংবাদমাধ্যমে যেসব খবর আসে, সেগুলোর সঙ্গে বিএনপির আদর্শ বা জিয়াউর রহমানের ভাবনার কোনো মিল নেই। যারা বিএনপিতে নেতৃত্ব দিতে চান বা জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করেন, তাদের অবশ্যই আগে নিজেকে সৎ প্রমাণ করতে হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে