নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:২৮, ২০ জুলাই ২০২৫
ছবি: মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান ও সা. সম্পাদক
১৯ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি, দেশ দীর্ঘ মেয়াদে সংকটে পড়ে গেছে এটা প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশে তো এমন কোনো দীর্ঘ মেয়াদি সংকটে পড়ে নাই যে মানবাধিকার কমিশনের অফিস লাগবে। প্রেস সচিবের সংবাদ সম্মেলনে এটাই মনে হয়েছে আমাদের।
তারা বিবৃতিতে আরো বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে এমন কোনো প্রমাণ নাই। এই কমিশন প্রসঙ্গে মানুষের শঙ্কা আছে তারা শুধু আধিপত্যবাদীর স্বার্থই রক্ষা করে। তারা মানবাধিকার নয়, ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে আসতে চায় কী না সেটাও একটি প্রশ্ন সাধারণ জনগণের মধ্যে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের পরিবর্তে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা জন–আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী ও স্বাধীনতার মৌলিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে অবিলম্বে সরে না আসে, তাহলে মুক্তিজোট সারা দেশে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে।
সরকারকে সতর্ক করে তারা আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা স্পষ্ট করে বলছি, শহীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত এই সরকারকে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে খাল কেটে কুমির আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো অধিকার দেওয়া হয়নি। বিষয়টিকে তারা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ‘স্পষ্ট হুমকি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন বিদেশি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
তারা বিবৃতিতে দাবি করেন, এই সরকারের মুল যে তিনটি কাজ তথা গণহত্যার বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে দৃশ্যমান করে দ্রুত সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে যথাযথ করা, তা না করে জুলাই আকাঙ্খার বিপরীত ক্রিয়াই করছেন সরকার।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে