ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৮ মুহররম ১৪৪৭

শিরোনাম

Scroll
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিমান বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
Scroll
বিমান বিধ্বস্তে প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে তালিকা প্রস্তুত করতে কমিটি গঠন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের
Scroll
শোকের সময় শান্ত ও সংহত থাকুন, জনগণের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
Scroll
শক্তিশালী পাসপোর্ট তালিকায় সিঙ্গাপুর শীর্ষে, বাংলাদেশ ৯৪তম
Scroll
এইচএসসির ২২ ও ২৪ জুলাইয়ের স্থগিত পরীক্ষা একদিনে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার
Scroll
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাসুকা বেগম নিপু
Scroll
টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে চান বাংলাদেশি ব্যাটার জাকের আলী
Scroll
হেভি মেটাল কিংবদন্তি ওজি ওসবার্ন আর নেই

নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে, ৫২টি এলাকা ‘হটস্পট’ চিহ্নিত

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯:৫২, ২২ জুলাই ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে, ৫২টি এলাকা ‘হটস্পট’ চিহ্নিত

ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস

নারায়ণগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ। আষাঢ়ের টানা বর্ষণ আর জলাবদ্ধতার কারণে জেলাজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা। চলতি জুলাই মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩ জন। ফলে ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৩ জনে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, আগামী আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর- এই তিন মাসে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) সূত্রে জানা গেছে, বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা, ডোবা ও অযত্নে পড়ে থাকা আবর্জনা বা পাত্রে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার বিভাগ নতুন করে নজর দিয়েছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম জানিয়েছেন, নগরীর তিনটি অঞ্চল- সদর, কদমরসুল ও সিদ্ধিরগঞ্জে ৫২টি এলাকাকে ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ১৮টি এলাকা সদর অঞ্চলে, কদমরসুল ও সিদ্ধিরগঞ্জে রয়েছে ১৭টি করে।

সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের হটস্পট

২ নম্বর ওয়ার্ডে মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া, পশ্চিম পাড়া ও সাহেব পাড়া।

৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিটাগাং রোড বাসস্ট্যান্ড থেকে সানার পাড় পাম্প।

৪ নম্বর ওয়ার্ডে আটি ওয়াপদা কলোনীর মজুমদার খালপাড় ও আউলাবন এলাকার ডোবা।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে আইলপাড়া দক্ষিণের কবির সাহেবের ডোবা।

৭ নম্বর ওয়ার্ডে কলেজ পাড়া মিতালি বাড়ির পাশে।

৮ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএনডি খাল।

৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাকা ডাস্টবিন, জালকুড়ি কাঠপটি মোড়, মাদবর বাজার খোলা ডাস্টবিন, নাইনতার পাড়া মোড়।

১০ নম্বর ওয়ার্ডে চিত্তরঞ্জন খাল।

১১ নম্বর ওয়ার্ডে তল্লা কিল্লারপুল পুকুর, নতুন রোড রেললাইন পুকুর ও বড় মসজিদ ডোবা।

সদর অঞ্চলের হটস্পট

১২ নম্বর ওয়ার্ডে বউ বাজার ডোবা, রামবাবুর পুকুর পাড় ও বার একাডেমীর আবর্জনা।

১৩ নম্বর ওয়ার্ডে শ্মশানের পেছনের ডোবা।

১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মাদ্রাসা গলি ডোবা, আমেনা মঞ্জিল পাইকপাড়া ও জিউস পুকুর, শাহপাড়া খাল।

১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডাইলপটি পরিত্যক্ত প্লট।

১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এলএন রোড ডোবা, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র-৩, বাবুরাইল লেকের দক্ষিণ অংশ, বায়তুন নূর মসজিদের পাশের ডোবা ও দেওভোগ জামে মসজিদের পুকুর।

১৭ নম্বর ওয়ার্ডে নয়াপাড়া আবর্জনাযুক্ত পুকুর, ভূইয়াপাড়া ডোবা।

১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নইল্লাপাড়া ডোবা, আলামিন নগরের ডাম্পিং স্পট, ডিয়ারা সরদার গলির পুকুর ও সৈয়দপুর খাল।

কদমরসুল অঞ্চলের হটস্পট

১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়াল বাড়ি ঘাট, লক্ষারচর দক্ষিণ পাড়া ও শান্তি নগর।

২০ নম্বর ওয়ার্ডে দড়ি সোনাকান্দা মাদ্রাসা ও মাহমুদ নগর বাংলা সিমেন্ট এলাকা।

২১ নম্বর ওয়ার্ডে সোনাকান্দা ত্রিবেনী খাল, শাহী মসজিদের পাশের খাল।

২২ নম্বর ওয়ার্ডে এইচ.এম. সেন রোড বন্দর কলোনি, মাষ্টার পটি ও উইলসন রোড।

২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইস্পাহানী জেলে পাড়া।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোল্লাবাড়ি গুইসাপের পুকুর ও আমিরাবাদ শাহ জামাল সাহেবের বাড়ি।

২৫ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণ লক্ষণখোলা বদ্ধ খাল।

২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সোনাচড়া মঞ্জু মিয়ার বাড়ির পাশের খাল।

২৭ নম্বর ওয়ার্ডে কুড়িপাড়া খাল ও চাপাতলি শাহাবুদ্দিন মিয়ার বাড়ির পাশের অঞ্চল।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাসিক সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিতভাবে ফগার মেশিনে কিটনাশক ছিটানো, লার্ভা ধ্বংস, বহুতল ভবন পরিদর্শন ও নোটিশ প্রদান, পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনটি অঞ্চলে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় ওষুধ ছিটানো হয়। পাশাপাশি তিনটি সিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার সুযোগ চালু রয়েছে।

ডা. নাফিয়া ইসলাম জানান, “আমরা আক্রান্তদের তথ্য নিয়ে সেইসব এলাকায় বিশেষভাবে ওষুধ ছিটাই। আমাদের স্বাস্থ্য টিম মাঠে আছে। কিন্তু শুধু আমাদের চেষ্টায় হবে না, নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “সারা বছরজুড়েই আমাদের কার্যক্রম চলে। নাগরিকদের সঙ্গে একসাথে কাজ করেই আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবো।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে

আরও পড়ুন