শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:০২, ২ আগস্ট ২০২৫
রবিবার দুপুর থেকে ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ একসেস করা যাচ্ছে না বলে একাধিক ভুক্তভোগী নিশ্চিত করেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ছোট-বড় এজেন্সিগুলো, যারা ফ্লাইট এক্সপার্টের মাধ্যমে টিকিট কেটে নিজেদের গ্রাহকের কাছে বিক্রি করত, তারাও নিজেদের একাউন্টে ঢুকতে পারছেন না।
এমন পরিস্থিতিতে গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। তবে এখনো বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়নি।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিলের সিটি সেন্টার অফিসে দুপুর থেকেই ভিড় করছেন ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সি ও ট্রাভেল এজেন্টরা। অনেকেই তাদের কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হয়ে জমা অর্থ এবং অপ্রসেসড টিকিট পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। ফ্লাইট এক্সপার্টের কয়েকজন কর্মী কার্যালয়ে আটকা পড়েছেন বলেও জানা গেছে।
সন্ধ্যার দিকে প্রতিষ্ঠানটির সিইও সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখিত বার্তায় স্বীকার করেছেন যে কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে তিনি দাবি করেন, “আমি একটি পরিকল্পিত বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি। সহকর্মী সাঈদ হোসেন ও সাকিব মিলে গত বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে পুরো দোষ আমার ওপর চাপিয়ে দেন। তারা আজ সকালে প্রায় ৩ কোটি টাকা তুলে নিজেদের কাছে রেখে দেন। এরপর কোম্পানির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।”
সায়েম আরও লিখেছেন, “দায় চাপানো ও হুমকির কারণে আমি শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার জন্য ছুটিতে যেতে বাধ্য হয়েছি। এভাবে সরে যাওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না—আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্সিগুলোর অনেকেই ইতোমধ্যে মতিঝিল থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের ক্ষতির পরিমাণ কত, এবং ভবিষ্যতে কীভাবে এ ধরনের প্রতারণা ঠেকানো যাবে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দেশজুড়ে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ