শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৫৬, ১ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৫৮, ১ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার (১ আগস্ট) আইএসপিআরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়। বিষয়টিকে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয় এবং গত ১৭ জুলাই ওই কর্মকর্তাকে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের যথার্থতা পাওয়া গেছে। এখন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়া, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার ব্যত্যয় নিয়েও পৃথক আরেকটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে আদালতের সুপারিশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি অরাজনৈতিক, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও পেশাদার প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার সুযোগ নেই। যে কোনো সদস্য রাজনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সেনা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সেনাবাহিনী তার সব সদস্যদের পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।
উল্লেখ্য, এর একদিন আগে (৩১ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা জানান, আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তা মেজর সাদিককে সেনা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে