শিরোনাম
অভয়নগর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:০৫, ৬ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৮:০৭, ৬ আগস্ট ২০২৫
মাদক দ্রব্য, ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
একদিকে যেমন বাড়ছে সেবনকারীর সংখ্যা, তেমনি অপরাধও বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। শুধু পুরুষ নয়, ভয়াবহ হারে বাড়ছে নারী মাদকসেবীদের সংখ্যাও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মাদকাসক্ত জানালেন তার জীবন কীভাবে মাদকে ধ্বংস হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদক আমার সংসার, সন্তান সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। এখন চেষ্টা করছি স্বাভাবিক জীবনে ফেরার। তরুণ-তরুণীরা একবার জড়িয়ে পড়লে বের হওয়া কঠিন। তাই আগেই সাবধান হওয়া উচিত।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, প্যাথেডিন সব ধরনের মাদকের অবাধ চলাচল ও ব্যবহার এখন অভয়নগরের জনজীবনের এক অপ্রকাশ্য বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু শহর নয়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে এই ব্যাধি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রনে থাকার কথা বললেও, বাস্তব চিত্র বলছে মাদকের নীরব রাজত্ব থামছে না বরং দিন দিন তা আরো ভয়ানক রূপ নিচ্ছে।
অভয়নগরে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান মাঝে মাঝেই হয়। তবে সেসব কার্যকর নয় বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ উঠেছে, কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রশাসনের লোক জড়িত এই চক্রে। ফলে ধরা পড়ে ছোটখাটো ব্যবসায়ী কিন্তু রাঘববোয়ালরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদক ব্যবসায়ী জানায়, আমাদের ওপরে যারা থাকে, তাদের সহযোগিতা ছাড়া এভাবে চালানো সম্ভব না।
অভয়নগরের সচেতন মহল মনে করেন রাঘববোয়ালদের আটক না করতে পারলে মাদক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। মাঝে মধ্যে নয়, সব সময়ই মাদকের আস্তানায় অভিযান চালাতে হবে-না হলে মাদক ভয়াবহরূপে বিস্তার লাভ করতে পারে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে