ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ সফর ১৪৪৭

চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭:৩৪, ৭ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৪২, ৭ আগস্ট ২০২৫

চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

মৃত শিশু কোলে স্বজনদের বিক্ষোভ। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস

মাদারীপুরে নিরাময় হাসপাতালের চিকিৎসক পি.কে বৈদ্য বিল্পবের দায়িত্ব অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন স্বজনরা। তবে হাসপাতালে দায়িত্বরতরা এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।  

বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট)  বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গতকাল রাতে শহরের কলেজ রোড এলাকায় নিরাময় প্রাইভেট ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলিফা মধ্যেরচর এলাকার প্রবাসী রাজু মাতুব্বরের একমাত্র মেয়ে। এদিকে ভাতিজির বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে হসপিটালের ফটোকে দাঁড়িয়ে আছেন চাচা। 

স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মধ্যেরচর এলাকায় বাড়ির পাশের রাস্তায় অপর এক শিশুর সাথে খেলা করছিল আলিফা। এসময় রাস্তার পাশে থাকা ভিমরুলের বাসা থেকে হটাৎ ভিমরুল এসে শিশুটির সারা শরীরে কামড়ায়। পরে শিশুদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে জেলা শহরের নিরাময় হাসপাতালে শিশু চিকিৎসক পি.কে বৈদ্য বিপ্লবের কাছে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে দেখে তাকে ক্লিনিকে ভর্তি দেন। এরপরে বিকেলে রোগীর অবস্থা অবনতি হয়। চিকিৎসকের কাছে স্বজনরা বারবার আসলেও চিকিৎসক একবারের জন্য দেখতে যাননি শিশুটিকে। এমনকি তাদের সাথে করেছেন দুর্ব্যবহার। পরে শিশুটি অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে নাকে-মুখে বমি করে মারা যায়। 

আলিফার চাচা মাওলানা ওয়ালিদ বলেন, ‘আমার ভাতিজির  অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি ডাক্তারের কাছে বারবার আসলে তিনি আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে তার দরজাটি লাগিয়ে দিয়েছেন। এমনকি  ডাক্তারকে আমরা বলেছি বাচ্চার অবস্থা ভালো না  অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দেন। তিনি উল্টো আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে আমাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। এবং বলেন, “রোগীর কিছুই হয় নাই। সে (রোগি) কিছুক্ষনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাবে।” ডাক্তারের চিকিৎসার অবহেলায় আজকে এই আমার ভাইয়ের মেয়েটি মারা গেছে।আমরা ডাক্তারের বিচার চাই।’

কর্তব্যরত চিকিৎসক পি.কে বিপ্লব বৈদ্যের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। 

এদিকে হাসপাতালের এমডি সরোয়ার আলম জানান, ‘এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।’

এদিকে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আদিল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরে ঘটনস্থানে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ

আরও পড়ুন