শিরোনাম
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:৪০, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে গত ১৮ মার্চ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। আজ রোববার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইতিমধ্যে মরদেহ নিয়ে স্বজনেরা পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
কলেজছাত্রীর বৃদ্ধ দাদা বলেন, গতকাল সকালে তার সঙ্গে নাতনির (কলেজছাত্রী) কথা হয়। জেলা প্রশাসক সহায়তার দুই লাখ টাকা আনতে তাঁকে ফোন করেছেন, সেটা নাতনিকে জানান। জবাবে নাতনি জানায়, জেলা প্রশাসক তাকে সোমবার যেতে বলেছেন। কিন্তু রাত ১০টার দিকে তাঁর ছেলে (কলেজছাত্রীর চাচা) তাঁকে ফোন করে বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনা হয়েছে।’ এরপর ছেলে বিস্তারিত খুলে বলেন। কিন্তু কী কারণে নাতনি ‘আত্মহত্যা’ করেছে, তিনি জানতে পারেননি।
দাদা আরও বলেন, ‘গত জুলাই আন্দোলনে ছেলেকে হারালাম। এরপর ১৮ মার্চ নাতনি ধর্ষণের শিকার হয়। আসামিরাও ধরা পড়ে জেলহাজতে রয়েছে। ভাবছিলাম যা হয়েছে, নাতনি তো বেঁচে থাকবে। অথচ গতকাল শনিবার নাতনিটা আমাদের ছেড়ে চলে গেল।’
মামলার এজাহারে উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা হওয়ার দিন রাতে এজাহারভুক্ত ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২১ মার্চ অন্য আসামিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাদের যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।