শিরোনাম
মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:৪৭, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের উপস্থিতিতে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবী সোহেল আহম্মেদ সাক্ষীদের জেরা করেন। আগামীকাল সোমবার মামলার আরও তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এত দিন আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। সম্প্রতি মাগুরা লিগ্যাল এইডের সহায়তায় সোহেল আহম্মেদকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ২৩ এপ্রিল মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ আনা হয়। বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশে (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্ট) অভিযোগ গঠন করা হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আজ প্রথমবারের মতো দুই পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে শুনানি হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীদের যথাযথভাবে জেরা করেছেন। তিনি আরও জানান, আগামীকাল ৩, ৪ ও ৫ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এখন থেকে প্রতিদিনই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, ফলে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হবে।
অন্যদিকে, শিশুটির মা ও মামলার বাদী বলেন, তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান। তার ভাষায়, আসামিরা সবাই দোষী। তাদের কারণে আমাদের পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে, নিরাপত্তাজনিত কারণে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য দেননি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি