শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
না.গঞ্জের ৭ খুনের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবী ও নিহতের স্বজনরা। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা আগামী পনেরো দিনের মধ্যে আপিল বিভাগকে চলমান থাকা মামলার রায় নিষ্পত্তির আল্টিমেটাম দেন।
১১ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকার ও সাবেক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
মানববন্ধনে মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, “লোমহর্ষক এই হতাকাণ্ডের বিচার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ঝুলে আছে। এতে হতাশ নিহতের পরিবারগুলো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির কাছে মামলাটি নিষ্পত্তিসহ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।”
সাত খুন মামলার আইনজীবী ও মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। গডফাদারদের ছত্রছায়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আজও বিচার ঝুলে আছে। কারণ, আসামিরা প্রভাবশালী। আমরা দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানাই।
মানববন্ধনে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শুনানির ব্যবস্থা করে রায় কার্যকরের দাবি জানান নিহতের স্বজনরা। এ সময় দ্রুত রায় কার্যকর করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান উপস্থিত আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে ফেরার পথে অপহরণের শিকার হন সাবেক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়। জেলা জজ আদালত ও হাইকোর্ট দণ্ডাদেশ দিলেও আপিল বিভাগে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ১১ বছরেও বিচার না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্বজনরা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ