ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
২৯ এপ্রিল থেকে সারাদেশের সব পলিটেকনিকে শাটডাউন ঘোষণা
Scroll
হজ ফ্লাইট উদ্বোধন, প্রথম দিনে মোট ১০টি ফ্লাইটে ৪ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি যাবেন
Scroll
চট্টগ্রাম টেস্ট, প্রথম দিন: বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ৯০ ওভারে ২২৭/৯
Scroll
ইয়েমেনের বন্দিশালায় মার্কিন বিমান হামলা, ৬৮ মৃতদেহ উদ্ধার
Scroll
ডনসহ ১৬ পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ ভারতে, বিবিসিকে সতর্কবার্তা
Scroll
সারাদেশে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ১০ জনের
Scroll
নারী বিবেচনায় জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
Scroll
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন
Scroll
ঢাকায় ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
Scroll
রাখাইনের জন্য করিডোর দিতে সম্মত বাংলাদেশ
Scroll
নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ: নতুনদের ঘর করে দিতে জাতিসংঘের চিঠি

ইয়েমেনের বন্দিশালায় মার্কিন বিমান হামলা, ৬৮ মৃতদেহ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭:৫৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ইয়েমেনের বন্দিশালায় মার্কিন বিমান হামলা, ৬৮ মৃতদেহ উদ্ধার

ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমের সাদায় আফ্রিকান অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রাখা একটি আটক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৬৮ জন নিহত এবং অন্তত আরও ৪৭ জন আহতের সংবাদ পাওয়া গেছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ইয়েমেনের সশস্ত্র হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল মাসিরাহ টিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগের দিন রোববার (২৭ এপ্রিল) সাদাহ’র ওই বন্দিশালায় এই বিমান হামলা চালানো হয়।

সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ওই বন্দিশালায় যারা ছিলেন তারা সবাই আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক এবং ইয়েমেনের সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আমিরাত-সৌদি বা উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য ধনী দেশে যাওয়ার জন্য দেশটিতে প্রবেশ করেছিলেন। অবৈধভাবে ইয়েমেনে প্রবেশকারী আফ্রিকান ও এশীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্যই এই বন্দিশালাটি তৈরি করা হয়েছিল।

ইয়েমেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বন্দিশালাটিতে মোট ১১৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। মার্কিন হামলার পর তাদের কেউই আর স্বাভাবিক অবস্থায় নেই।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

কিন্তু এই অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসানের পরিবর্তে আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকটে ভুগছেন।

সূত্র : রয়টার্স

আরও পড়ুন