ঢাকা, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশে পানিপ্রবাহ বন্ধের আহ্বান বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫:১৪, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে পানিপ্রবাহ বন্ধের আহ্বান বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবের

ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান মন্তব্য করেছে, ভারতের এই সিদ্ধান্ত কার্যত 'যুদ্ধ ঘোষণার' সমতুল্য। চিরবৈরী দুই দেশের এই উত্তেজনার আবহে ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এমপি নিশিকান্ত দুবে বাংলাদেশে পানিপ্রবাহ বন্ধেরও দাবি তুলেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুসারে, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যেই বিজেপির নেতা নিশিকান্ত দুবে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি-র সমালোচনা করেন এবং বাংলাদেশে পানিপ্রবাহ বন্ধ করার দাবি জানান।

নিশিকান্ত দুবে বলেন, গঙ্গা চুক্তি একটি বড় ভুল ছিল, যা ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস সরকার করেছিল। এসময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত, তাদের সঙ্গে আমরা আর কতদিন পানি ভাগ করে নেব? দুবে আরও বলেন, আর কতদিন সাপকে দুধ দেব? সময় এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার।

বাংলাদেশের সীমানা দিয়ে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দুবে। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত আরও সুরক্ষিত করা উচিত, যাতে সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যায়। তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, উভয়েই অতীতে বাংলাদেশে পানি সরবরাহ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।

নিশিকান্ত দুবে আরও মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ যদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে, তবে তাদের সঙ্গে পানিবণ্টনের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, পেহেলগামে হামলার পর প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্ষোভ এবং দৃঢ় অবস্থান দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছে। ১৪০ কোটি ভারতীয় তাঁর সঙ্গে আছেন এবং বিশ্ব মোদিকে একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে দেখে।

পেহেলগাম হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি এক জনসভায় বলেন, যারা এই হামলার পেছনে রয়েছে, তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। মোদি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদীরা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না, এবং নিরীহ প্রাণহানির বিচার নিশ্চয়ই হবে।

এই হামলার পর ভারত একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে —

সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা বাতিল করা, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করা।

জবাবে পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় —

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত করে, ভারতীয়দের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয়, ভারতীয় বিমানগুলোর জন্য নিজেদের আকাশপথ ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি

আরও পড়ুন