ঢাকা, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় মিন্টু

যশোর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১৫:০৯, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৬:০৪, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় মিন্টু

কোতয়ালী মডেল থানা, যশোর। ছবি: ঢাকা একাসপ্রেস

যশোরের নওয়াপাড়া ইউনিয়নের শেখহাটি জামরুলতলা পশ্চিমপাড়ার হালিম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মানবপাচার মামলায় আদালতে স্বাক্ষী দেয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মনোয়ার হোসেন মিন্টু। আসামীরা মিন্টুকে প্রকাশ্যে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে, তিনি বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন। জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি গত ২৪ এপ্রিল যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছেন। 

ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন মিন্টু জিডিতে উল্লেখ করেন, শেখহাঁটি জামরুলতলা পশ্চিম পাড়ার মেছের আলীর ছেলে হালিম বিশ্বাস এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী দলেরও সদস্য। বেশ কয়েকজন নর-নারীকে প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন। 

২০১৯ সালে মাছুরা বেগম নামে পাচারের শিকার এক নারী পাচারকারী হালিম বিশ্বাসের নামে কোতয়ালী মডেল থানায় মানব পাচারের মামলা করেন। ঐ ঘটনায় পিবিআই তদন্ত পূর্বক আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। ওই মামলায় স্বাক্ষী হিসেবে তিনি (মিন্টু) আদালতে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। 

এই স্বাক্ষী দেয়ার ঘটনায় পাচারকারী হালিম ও তার সহযোগিরা বিভিন্ন সময়ে মিন্টুকে হুমকি দিতো যাতে তিনি আর কোনোভাবেই স্বাক্ষী দিতে না যান। কিন্তু গত ২৩ এপ্রিল, বুধবার স্বাক্ষী মিন্টু শেখহাটির পশ্চিম পাড়ায় একটি কাঠগোলার সামনে অবস্থান কালে হালিম বিশ্বাস তাকে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করে ও হত্যার হুমকি দেয়। এ সময়ে মিন্টু প্রতিবাদ করলে হালিম বিশ্বাস মারপিট করতে গেলে তার স্ত্রী মুক্তা, স্থানীয় মুকুল হোসেনসহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে সে হুমকি দিতে দিতে চলে যায়। 

পাচারকাররি হালিমের এরূপ অব্যাহত হুমকিতে মনোয়ার হোসেন মিন্টু পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। 

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে হালিম বিশ্বাস, তার স্ত্রী আরিফা আক্তার পপি ও তার সহযোগিরা সেতু নামের এক মেয়েকে পাচার করে। সেতু তার (মিন্টু) বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। তা ছাড়াও, পাচারকারি হালিম বিশ্বাস ও তার স্ত্রী আরিফা আক্তার পপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকাতে একাধিক সংবাদ প্রচার হলেও তিনি প্রশাসনে চাকুরী করা তার জামাই যশোর উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মকর্ত হাফিজুর রহমান হাফিজের ভয় দেখিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজ্বত্ব কায়েম করেছেন। 

এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, অভিযোগটি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা তালবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠিয়েছি। খুব শীঘ্রই ফাঁড়ি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

অভিযোগটির বিষয়ে যশোরের তালবাড়িয়া ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিন হোসেন জানান, এই অভিযোগটি কোর্টে তদন্তের অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছে। কোর্টের আদেশ পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা তদন্ত শুরু করবো। তাতে দোষি ব্যক্তি যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আসবে সে ব্যবস্থা করবো। কোনো অন্যায়কারী আইনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না বলেও তিনি জানান। 

 

ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ 

আরও পড়ুন