শিরোনাম
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:২০, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৩:০২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
রিমনের মা ফরিদা ইয়াছমিন জানান, রিমন স্থানীয় হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। গত দুই দিন আগে তার স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে বাহিরের কিছু ছেলেদের ঝগড়া হয়, যা সে আমাকে এবং স্কুলের শিক্ষকদের জানায়। ঝামেলা সৃষ্টিকারীরা তাকে বলেন, ‘আমি শহীদের ভাই, আমি চাই না আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক, দেশে আর কোনো সমস্যা হোক।’ বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার পর বাহিরের ছেলেরা তার স্কুলের বন্ধুদের মারতে পারেনি, ফলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
গতকাল বিকেলে স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে ওই ছেলেরা রিমনকে পেছন থেকে ডেকে, অতর্কিতে পিঠ ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।
ফরিদা ইয়াছমিন বলেন, ‘রিমনের পিঠে তিনটি সহ মোট ছয়টি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার পিঠের আঘাতগুলো ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছেছে।’ হামলাকারীরা প্রথমে মনে করেছিল রিমন মারা গেছে, তবে যখন তারা জানতে পারে যে রিমন বেঁচে আছে, তখন তারা পুনরায় তাকে আক্রমণ করতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যায়।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, ‘তথ্য সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় কী কারণে হামলা হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়, তবে আহত রিমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি