শিরোনাম
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৪৬, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
গতকাল রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রথমে দগ্ধ পাঁচজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে সীমা আক্তার মারা যান।
সীমা আক্তারের স্বামী মো. আলহাজ উদ্দিন জানান, তারা মোগরখাল এলাকায় আব্দুর রহিমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং দু'জনেই পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গতকাল সন্ধ্যায় পাশের বাড়িতে রান্নার কাজ চলছিল, সেই সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয় এবং তার স্ত্রীসহ পাঁচজনের শরীর দগ্ধ হয়। সেখান থেকে তাঁদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সবাইকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, ‘তিনজনের শরীরের ৩২ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ বছরের তানজিলার অবস্থা সবচেয়ে গুরুতর, তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।’
এ বিষয়ে বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজিব আহমেদ জানান, ‘এ ঘটনায় কাউকে অভিযোগ করতে দেখা যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গাজীপুরের এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয়রা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি