শিরোনাম
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:০৬, ১৮ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩১, ১৮ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
সবশেষ মঙ্গলবার (১৭ জুন) তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে লাকসাম থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর (২০) মামাতো ভাই। সোমবার রাতে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, লাকসাম উপজেলার বড়তোপা গ্রামের মো. সাগর (২৬), লাকসাম পৌর এলাকার পেয়ারাপুর এলাকার এনায়েতুর রহমান সাক্কু (১৯), কিশোরগঞ্জ জেলার পাকন্দিয়া উপজেলার চর-কাউনা গ্রামের স্বপন মিয়া (২১)।
ভুক্তভোগীর বরাতে পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোনে রিফাত নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। গত ৮ জুন ওই তরুণী তার কথিত প্রেমিক রিফাতকে লাকসাম বাজারে খুঁজতে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে এনায়েতুর রহমান সাক্কু নামের এক অটোরিকশা চালকের সঙ্গে পরিচয় হয়। সাক্কু তরুণীকে নিয়ে লাকসাম শহরে খোঁজাখুঁজি করে রিফাতকে না পেয়ে ওই দিন রাত ১০টার দিকে লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের সিঁড়িতে গিয়ে বসেন।
তখন রেলস্টেশনের কিছু বখাটে ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। পরে এনায়েত তরুণীকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর বখাটেরা তাদের দুজনকে পরদিন ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত স্টেশনে বসিয়ে রাখে। এর মধ্যে এনায়েত ওই তরুণীকে স্ত্রী নয় বলে বখাটেদের হাতে তুলে দিতে চান। একপর্যায়ে বখাটেদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তরুণীকে লাকসাম রেলস্টেশন থেকে মারতে মারতে রেললাইনের পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরে নিয়ে যান।
সেখানে এনায়েতের সহায়তায় খোরশেদ, সাগর ও স্বপন নামের তিন বখাটে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী রেললাইন পার হয়ে একটি অটোতে করে তার কর্মস্থলে যান। সর্বশেষ পরিবারের সহায়তায় সোমবার রাতে থানায় এসে বিষয়টি বিস্তারিত জানান।
রাতে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের মামাতো ভাই বাদী হয়ে সোমবার রাতে চার জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অপর আসামি খোরশেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ