ঢাকা, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

অপহরণের এক মাস পর মামলা, আটক ২

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫:০১, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৫:০৩, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

অপহরণের এক মাস পর মামলা, আটক ২

নিখোঁজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস

যশোরে ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম অপহরণের এক মাস পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করার পর শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ। 

পুলিশ ভাষ্য মতে, রেজাউল ইসলামের জমি বিক্রির ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের জন্য তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে তিনি জীবিত আছেন নাকি হত্যার শিকার হয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে। অভিযানের স্বার্থে আটককৃতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল ইসলাম যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক এলাকায় কাপড় ও টেইলার্সের ব্যবসা করতেন এবং কামরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাশের কক্ষে থাকতেন মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে রিপন হাওলাদার ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার এলাকার হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল। একই বাড়িতে বসবাসের সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। 
পরবর্তীতে ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য রেজাউল তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দুই শতক জমিসহ বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। সবুজ ও রিপনের সহায়তায় ২১ লাখ টাকায় ওই সম্পত্তি বিক্রি করেন তিনি। গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাকা হস্তান্তরের কথা বলে সবুজ ও রিপন মোবাইল ফোনে ডেকে নেন রেজাউলকে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। 

রেজাউলের পরিবার প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে সবুজ, রিপনসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পুলিশ তখন অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেয়নি, বরং তদন্ত শুরু করে। 

এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামে এক সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। 
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, “রেজাউলের অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তবে রেজাউলের কী হয়েছে, তা জানতে তদন্ত অব্যাহত আছে।”

রেজাউলের ছেলে মেহেদী হাসান চয়ন বলেন, “আটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সাতক্ষীরায় অভিযান চালাচ্ছে। আমিও তাদের সঙ্গে আছি। এখনো আমার বাবার ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত হতে পারিনি।“ 

 

ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ 

আরও পড়ুন