শিরোনাম
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:১২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
নীলফামারী। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
জানা গেছে, জেলার ডিমলা উপজেলার পন্ডিতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সনদ হস্তান্তর বা প্রশাসনিক খরচের অজুহাতে এ অর্থ আদায় করা হচ্ছে। যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই ধরনের ফি আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।
জামাল উদ্দিনসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, “আমরা ছেলে-মেয়েদের সার্টিফিকেট তুলতে গিয়েছিলাম, কিন্তু ২০০ টাকা না দিলে দেয়নি। বলেছে, এটা নিয়ম।”
প্রথমে ১০০ টাকা হারে দিলেও প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান টাকা নিতে অস্বীকার করেন। পরে ১৫০ টাকা দিলেও তিনি সার্টিফিকেট দেয়নি।
টাকা নেয়ার বিষয় অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান বলেন, “সার্টিফিকেট বা অন্য কোনো বাবদ টাকা নেয়া হচ্ছে না। যদি কেউ বলে থাকে তাহলে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে।”
ডিমলা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বীরেদ্রনাথ রায় এ বিষয়ে বলেন, “একজন অভিভাবক ফোনের মাধ্যমে অভিযোগ দিয়েছে। সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য কোনো ফি নেয়ার নিয়ম নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা দ্রুত প্রশাসনিক তদন্ত ও অনিয়ম বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ