শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮:১৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
এসব উদ্যোগের বেশিরভাগই নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছে। ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি আদেশ আদালতের নির্দেশে স্থগিত আছে। এর ফলে, সরকার এক নজিরবিহীন আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে।
সাম্প্রতিক জনমত জরিপগুলোতে এর প্রতিফল ঘটেছে। বেশ কয়েকটি জরিপে তার জনপ্রিয়তা কমার আভাস পাওয়া গেছে। গত রোববার ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের জরিপে দেখা গেছে, ৩৯ শতাংশ মার্কিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের কার্যক্রমকে সমর্থন করেন।
বিল ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে (অ্যাপ্রুভাল রেটিং) ৫০ শতাংশের নিচে নামেনি। এই তথ্য জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ। গত সোমবার ট্রাম্প এই জরিপের ফলকে ‘ভুয়া সংবাদ’ বলে আখ্যা দেন।
ট্রুথ সোশালের পোস্টে গর্ব করে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব ভালো করছি, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় আমরা ভালো আছি।’
অপরদিকে, জরিপে অংশ নেওয়া ৬৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন-ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ করে ফেলেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প তার মেয়াদের শুরুতে যেরকম দ্রুততার সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়েছেন, তা কতদিন চলমান রাখতে পারবেন, তা দেখার বিষয়। আমেরিকার ইতিহাসে বর্তমানে ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হেরে গেলে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হতেন সবচেয়ে প্রবীণ।
তিনি প্রচারণার সময় দাবি করেছিলেন, নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। কিন্তু এ বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জটিল কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরে প্রতি হতাশা প্রকাশ করেন।
টাইম ম্যাগাজিন ট্রাম্পকে সেই ২৪ ঘণ্টার বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, মানুষ জানে যে ওই সময় আমি যেটা বলেছিলাম, তা মজা করেই বলেছিলাম।’