শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেক্স
প্রকাশ: ১১:০৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৪৪, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
কানাডার প্রধান দুই সংবাদমাধ্যম সিবিসি ও সিটিভি ধারণা করছে, পার্লামেন্টের ৩৪৩টি আসনের মধ্যে লিবারেল পার্টি জিতবে অন্তত ১৪৫টি আসনে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে ১১৪টি আসন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২টি আসন অর্জনের জন্য কোনো দলই এককভাবে সক্ষম না হওয়ায়, লিবারেলদের জোট গঠন করতে হতে পারে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, অন্টারিওর নেপিয়ান আসনে লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কারনি প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এই আসনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হতে যাচ্ছেন। সাবেক ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর কারনি, গত মার্চে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন, যদিও তিনি তখন সংসদের সদস্য ছিলেন না।
জাস্টিন ট্রুডোর সময়কালে লিবারেল পার্টির জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী হলেও, কারনির নেতৃত্বে দলটি নতুন করে শক্তি অর্জন করেছে। নির্বাচনী লড়াই মূলত লিবারেল বনাম কনজারভেটিভ দ্বন্দ্বে পরিণত হয়েছে। এদিকে, এনডিপি নেতা জগমিত সিং নিজ আসন হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন, যা দলের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।
সবশেষ পাওয়া তথ্যমতে, এনডিপির ভোটপ্রাপ্তির হার কমে ৪.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে—যা আগের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ কম। পার্লামেন্টে চতুর্থ বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও তাদের জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমে আসছে।
আল-জাজিরার অটোয়া প্রতিনিধি জানান, শুরু থেকেই লিবারেল পার্টির অবস্থান শক্তিশালী। তবে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর ভোট গণনার পর চূড়ান্ত ফলাফলে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের গতিপথ পুরোপুরি বদলে গেছে। জানুয়ারিতে কনজারভেটিভ পার্টি ২৫ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। এরপর ট্রুডোর পদত্যাগ এবং মার্ক কারনির আগমন নির্বাচনী সমীকরণ পাল্টে দেয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর হুমকির কড়া প্রতিবাদ করেন কারনি। তাঁর এই অবস্থান লিবারেলদের জনসমর্থন বাড়াতে সহায়তা করে। অপরদিকে, কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভ ট্রাম্পপন্থী হিসেবে পরিচিত, যা নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে তার নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি