শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯:১৯, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৯:২৪, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
জানা যায়, পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পাকিস্তান রেঞ্জার্স বুধবার ভারতের আধাসামরিক বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে। বিএসএফ সদস্যের নাম পুরনম কুমার শ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তে কৃষকদের ফসল তদারকি করতে গিয়ে তিনি অনিচ্ছাকৃত পাকিস্তানি সীমানায় চলে যান।
একজন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা শ'র আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ প্রসঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি নন।
শ'র ভাগ্নে রাহুল শ বলেছেন, আমরা তার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। বিএসএফ আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে তারা তাকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনবে। পুরনমের ৮ বছরের একটি ছেলে আছে এবং তার স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় রয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্য কল্যাণ ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে নিশ্চিত করেছেন যে শ সুস্থ আছেন এবং তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার সম্ভাব্য সব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কিছু অংশে নিরাপত্তা বিন্যাস জটিল। অনেক ক্ষেত্রে ভারতীয় কৃষিজমি ‘জিরো পয়েন্ট’ বা সীমান্তরেখার খুব কাছাকাছি অবস্থিত। বিএসএফ কৃষকদের পরিচয়পত্র দিয়ে তাদের জমিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় এবং তাদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখে। এ ধরনের অনিচ্ছাকৃত সীমান্ত পার হওয়ার ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে থাকে।
এর আগে গত ২০১৯ সালেও কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তারই মাঝে ভারত বিমান হামলা চালালে পাকিস্তান এক ভারতীয় পাইলটকে আটক করে। যা পরবর্তীতে সেই পাইলটের মুক্তি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ভূমিকা রেখেছিল।
ভারতের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কে. জে. সিং বলেছেন, সীমান্তরক্ষীদের অনিচ্ছাকৃতভাবে সীমান্ত পার হওয়া সাধারণ ঘটনা। তাই পাইলট আটকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নয় এটি। তবে এই উত্তেজনার মাঝে ঘটে যাওয়া ঘটনায় দুই দেশের আলোচনা সাধারণের চেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হতে পারে।
তবে অন্যদিকে বিএসএফ সদস্য পুরনম কুমার শ আটক হওয়ায় পাকিস্তান এখন একটি কূটনৈতিক সুবিধা পেতে পারে, যা ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসইউ