শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:০২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: ফ্রান্স ২৪
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকানদার মোমেনি জানান, এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২০ জন।
শনিবার দক্ষিণ ইরানের শাহীদ রাজায়ি বন্দরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরটি হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি অবস্থিত। বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ এই পথেই সম্পন্ন হয়।
দুর্ঘটনার পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ হিসাব নির্ধারণ করা হবে।
বিস্ফোরণের কারণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত না হলেও বন্দরের কাস্টমস বিভাগের ধারণা, বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষিত একটি গুদামের আগুন থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনি আরও জানান, নিরাপত্তাবিধি লঙ্ঘন ও অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এবং দায়ীদের শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বিষয়টি ঘিরে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ মহলে বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে নানা জল্পনা চললেও, ক্ষেপণাস্ত্র জ্বালানিসংক্রান্ত কোনো চালান থেকে বিস্ফোরণ ঘটার গুঞ্জন নাকচ করে দিয়েছে ইরান সরকার।
রোববার প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। দুর্ঘটনার পরপরই বন্দর আব্বাসে সব স্কুল-অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সোমবার ইরানে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর