শিরোনাম
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:০৮, ৩ মে ২০২৫
খালেকুজ্জামান ডিউটের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার বিকালে মেহেদী রাঙা হাতে, লাল শাড়ি পরে ও অশ্রু ভেজা চোখে মৃত বরকে বিদায় জানালেন নববধূ লাভলী আক্তার।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ গ্রামের শাহ জামালের মেয়ে লাভলী আক্তারের (২০) সঙ্গে একই উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের আছিয়ার বাজার এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে খালেকুজ্জামান ডিউটের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার সারাদিন দুই পরিবারের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে আপ্যায়নসহ নানা আনন্দ ও উৎসব চলছিলো। বরের বাড়িতে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব এবং পাড়া প্রতিবেশীদের খাওয়া-দাওয়াও শেষে আত্মীয় স্বজনরা বিদায় নেন।
নববধূ লাল শাড়ি পরে মেহেদী মাখা হাতে ফুলশয্যার রাতে বিছানায় বসে বরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রব খালেকুজ্জামান ডিউট বাড়িতে আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা শেষে রাত ১২টার দিকে বাসর ঘরে প্রবেশ করে নববধূর কাছে এক গ্লাস পানি চান। পানি চাওয়া মুহূর্তে চিৎকার দিয়ে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। নববধূর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে বর ডিউটকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ পাননি। পরে বাড়ির লোকজন নিশ্চিত হন হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার রামপ্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম মিয়া সোহেল প্রধান শিক্ষক খালেকুজ্জামান ডিউটের মৃত্যুর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “নিয়তির ওপরে তো কারো হাত নেই। তবে এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা খুবই কম দেখা যায়। বাসর রাতেই স্ত্রী বিধবা! খুবই কষ্টদায়ক ঘটনা।”
শুক্রবার বিকাল ৩টায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ