শিরোনাম
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:৩৪, ৩ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৫৭, ৩ মে ২০২৫
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার । ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর এক প্রবাসীর পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩ মে) দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর ইউরো শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য শাহ আলম বলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, মামলাবাজ ও জবরদখলকারী মাহবুবুর রশীদ রাজু, তার স্ত্রী রেহানা পারভীন, মাহবুবুল আলম দুলাল, গৃহপরিচারিকা রহিমা বেগম ও মমতাজ গং আমাদের অত্যাচার, নির্যাতন হুমকি-ধমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করে। এতে পুরো পরিবার দিশেহারা।
তিনি বলেন, আমরা তিন ভাই। এক ভাই যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। অপর দুই ভাই ২০ বছর ধরে চট্টগ্রামে বসবাস করি। ধন্যপুর গ্রামে আমাদের পৈতৃক ৪০১ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই সম্পত্তির ফলফলাদি ও পুকুরের মাছ আমাদের অনুপস্থিতিতে জোর করে ভোগদখল করত মাহবুবুর রশীদ গং। ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ফিরে বাড়িতে বসবাস শুরু করি। আমরা বাড়িতে বসবাস শুরু করায় মাহবুবুর রশীদ গং অসন্তুষ্ট হয়। তারা ছোটখাটো যেকোনো বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বাড়িতে থাকার কারণে তারা আমাদের সম্পত্তি থেকে সুবিধা না নিতে পেরে আমাদের ভিটেবাড়ি ছাড়া করার জন্য বিভিন্ন চক্রান্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মাহবুবুর রশীদ গং আমার ওপর ও আমার স্ত্রীর ওপর একাধিকবার আক্রমণ ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধমকি দিলে সোনাইমুড়ী থানায় জিডি করি। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তারা আমাদের ১৭ ডেসিমেল জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। জমি দখলের বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ঘরে জিম্মি করে হাওলাতি টাকাকে পাওনা টাকা দাবি করে।
ভুক্তভোগী শাহ আলম বলেন, ওই ঘটনার জেরে আমার কাছে জমি কেনার জন্য টাকা দিয়েছে দাবি করে সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। পরে তারা সংঘবদ্ধভাবে প্রভাব খাটিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানকে দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার মর্মে একটি লিখিত রায় আদায় করে আমাকে পুনরায় হুমকি দেওয়া শুরু করে। এরপর আমাকে হেনস্তার জন্য নারী নির্যাতনসহ তিনটি মামলায় জড়ানো হয়।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুর রশীদ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, শাহ আলমের সঙ্গে এখন আমার কোনো বিরোধ নেই। আমি তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করিনি। বাকি অভিযোগের বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। পুলিশ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছে। তবে কোনো পক্ষই পুলিশের কথা শোনে না।